ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ইলমা চৌধুরী মেঘলার (২৪) মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মামলা করেছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে তাকে। ইলমা চৌধুরী মেঘলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
চার বোনের মধ্যে ইলমা চৌধুরী (২৫) ছিলেন বড়। লেখাপড়া শেষ করার আগেই বিয়ে হয় কানাডা প্রবাসী ইফতেখার আবেদীনের সঙ্গে। ইচ্ছে ছিল মাস্টার্স শেষ করে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হওয়ার। কিন্তু সেই আশা অপূর্ণই থেকে গেলো ইলমার।
এক গণমাধ্যমকে নিহত ইলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমার মেয়ে লেখাপড়ায় অনেক ভালো ছিল। ইলমা আমাকে বলেছিল বিসিএস দিয়ে শিক্ষক হবে। হঠাৎ তার সঙ্গে ইফতেখারের পরিচয় হয় ফেসবুকে। আমরা প্রথমে রাজি ছিলাম না পরে অনেক চাপাচাপির পর রাজি হই। তারা আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। তার শরীরের সব জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মা ও কথিত বাবা সবাই মিলে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে।
তিনি আরও বলেন, সে নৃত্যকলায় পড়ত তার স্বামী ভাবত তার চলাফেরা অনেক খারাপ। সে তার চুল কেটে ছোট করে হিজাব পরা শুরু করে। বিয়ের দিন থেকে ইফতেখার আমার মেয়েকে নির্যাতন করত। অত্যাচার থেকে বাঁচতে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ইলমা। আমরা জানতাম ইফতাখারের বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার। পরে জানি এটা তার আসল বাবা নয়। তার মা ওই সেনা অফিসারকে ২য় বিয়ে করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে তারা সব কিছু লুকিয়েছে। সে ফ্রান্সে একটি বিয়ে করেছিল। সেই ঘরে একটা সন্তান আছে। পরে তাকে ডিভোর্স দিয়ে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছে। এটা জানতে পেরেছি বিয়ের পর। তারা এক ভণ্ড পীরের মুরিদ হওয়ায় আমার মেয়েকে সবসময় আটকে রাখত। বাইরে বের হতে দিত না। ১১ ডিসেম্বর ইফতেখার দেশে এসেছে সেটা আমরা জানতাম না। তার (ইলমার) মোবাইলে সবসময় চেক করত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত কি না। শেষ পর্যন্ত তারা আমার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরেই ফেলল।
সুত্রঃ আরটিভি নিউজ
5 comments
মা ছেলে দুজনে প্রতারক কারণ তারা মিথ্যে বলে বিয়ে করেছে
ইলমার হত্যার বিচার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে করতে হবে
পীরের মুরিদ মানেই ভন্ড ও প্রতারক
একটি মেধাবী জীবন অকালে ঝরে গেল খুনির ফাসি চাই
ইলমার বাবার দাবি মোতাবেক তদন্ত করে দোষীদের বিচার করা হোক