মাদ্রাসা ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে বিয়ে করা ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তালা উপজেলার মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক খায়রুল ইসলামের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বাল্যবিয়ের ঘটনায় স্থায়ী বহিষ্কারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে এলাকাবাসী।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ শতাধিক গ্রামবাসী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এতে ঐ শিক্ষকের স্ত্রী তামান্না খাতুনও অংশ নেন।
অভিযোগ উঠেছে, তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক খায়রুল ইসলাম (৪০) গত ২১ নভেম্বর একই মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শান্তা খাতুনকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। শিক্ষকের এহেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে এলাকার সচেতন মহল বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। একপর্যায় পরিচালনা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে চাকরী থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
এদিকে ওই শিক্ষকের স্ত্রী তামান্না বেগম স্বামীর এহেন অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে স্বামীকে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে গ্রাম্যমোড়ল মাতব্বরদের কাছে ধর্না দেয়।
তালার ধানদিয়া ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের মৃত মোসলেম সানার ছেলে খায়রুল ইসলাম গত ১০ বছর আগে গড়েরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওহাব মোড়লের মেয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তামান্না খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তামান্নার পিতা ওহাব মোড়ল মেয়ের সুখের জন্য জামাই মাদ্রাসা শিক্ষক খায়রুল ইসলামকে বিভিন্ন সময়ে ২০ লাখ টাকার বেশি যৌতুক দিয়ে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করে। দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীর গর্ভে সন্তান আসলে দুই দফায় স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে সেই গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য করে ওই শিক্ষক খায়রুল ইসলাম।
এদিকে ঘরে স্ত্রী থাকা সত্যেও মাদ্রাসা ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্ত্রীসহ গ্রামের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ওই লম্পট শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এদিকে যৌতুকের দাবী করায় খায়রুল ইসলামে বিরুদ্ধে গত ২৫ নভেম্বর সাতক্ষীরা পারিবারিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন স্ত্রী তামান্নার ভাই আজহারুল ইসলাম।
সম্প্রতি মাদ্রাসা ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষকের এহেন অনৈতিক ঘটার বিচার ও তাকে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা অফিসসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখত অভিযোগ করে প্রতিকার দাবী করেছেন।
সুত্রঃ ইত্তেফাক
2 comments
এই সব ভন্ড শিক্ষকদের এর জন্য মাদ্রাসা শিক্ষার বদনাম হয়ে বেশি
আগে জুতা পিটা করা হোক তার পরে বিচার এগুলো জানওয়ারের চেয়ে খারাপ কি হইতেছে দেশে এগুলা একের পর এক