ভারতের ফের শত শত মুসলিম নারী বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে ‘নিলামে’। বিনা অনুমতিতে ছবি ব্যবহার করে একটি অ্যাপে মুসলিম নারী বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো অ্যাপের মাধ্যমে মুসলিম নারীর বিক্রির এই বিজ্ঞাপন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি, আনন্দবাজার ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তারা ইসমত আরা নামে এক সাংবাদিকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। এদিকে, মুম্বাই পুলিশও এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন শিবসেনার সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী জানিয়েছে।
মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে জানান, মুম্বাই পুলিশের সাইবার ইউনিট ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপে পাওয়া বিতর্কিত বিষয় নিয়ে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে এটা ‘শালি ডিলস’ অ্যাপের ক্লোন। ওই ‘শালি ডিলস’ অ্যাপেই গত বছরের জুলাইতে অন্তত ৮৩ জন মুসলিম নারীর ছবি দিয়ে তাদের ‘বিক্রির আয়োজন’ করা করা হয়েছেল। ওই অ্যাপে ও ওয়েবসাইটে নারীদের বিশেষায়িত করা হয়েছিল ‘ডিলস অফ দ্য ডে’ বলে।
যদিও এখানে বেচাকেনার কোনো উদ্দেশই ছিল না। ওই অ্যাপের উদ্দেশ ছিল ব্যবহারকারীদের হেয় করা, অপমান করা এবং হয়রানি
করা।
এ ব্যাপারে এক নেটিজেন জানান, ‘শালি ডিলস’ অ্যাপের মতো ঠিক একইভাবে ‘বুল্লি বাই’ অ্যাপ কাজ করে। অ্যাপটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে ডিসপ্লেতে মুসলিম নারীদের ছবি একের পর এক সামনে আসে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে মুসলিম নারীদের সরব উপস্থিতি রয়েছে। তারা ফের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিসহ তাদের ‘নিলামে’ তোলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সুত্রঃ যুগান্তর
11 comments
Nasty people doing this against Muslim.
দেশটি প্রাচীন যুগে ফিরছে না তো?
কাউকে অসম্মান করা সহজ। কিন্তু সম্মান করতে পারিবারিক শিক্ষা দরকার।
কাজটি খুবই নিন্দনীয়। ভারত সরকার যথাযত পদক্ষেপ নিয়ে দায়ীদের শাস্তি দিবে এই আশা করছি। এধরনের কাজ যারা সমর্থন করে তাদেরও সুস্থ রুচি বোধের অভাব আছে।
বর্বর অসভ্য কিছু আদিম নরপশুর বসবাস আজও দেখতে পাওয়া যায় ভারতের মাটিতে
যারা এরকম জঘন্য কাজ করেছে তারা মানুষরূপী শয়তান। কোনো মানুষ এরকম জঘন্য কাজ করতে পারে না। যারা এমনটা করেছে তাদেরকে কঠিন শাস্তি দেওয়া উচিৎ।
এর পিছনে যারা আছে তাদের কঠিন শাস্তি চাই তারা এমন পর্যায়ে গেছে যা ইচ্ছা তাই করে সে দেশের সরকার এর সুষ্ঠু বিচার করবে আশা করি।
এই নারী হলো মা ও বোনের জাতি। মানব জাতির লজ্জা থাকা দরকার। ধিক্কার জানাই এই রকম কর্মকাণ্ডের
এই হলো ভারতের অবস্থা আর আমরা বাংলাদেশের হিন্দুদের মায়ের কোলে সন্তান যেমন নিরাপদ সেই ভাবে রেখেছি
যে দেশে মেয়েদের পুজো করা হয়, আবার সে দেশে মেয়েদের ধর্ষণ করা হয়। তাই এদের থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
এখনো সময় আছে মুসলিমরা ঠিক হয়ে যাও তাহলে এই ভারতের হিন্দুত্ববাদ থেকে কারো রেহাই পাওয়া সম্ভব নয়