কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাচারকালে ৬ তরুণীসহ ৭ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় মানব পাচার চক্রের অন্যতম হোতা ইদ্রিস নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক ইদ্রিস চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকার আহমদ কবিরের ছেলে। গতকাল বিকালে র্যাব-১৫ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক খায়রুল ইসলাম সরকার।
র্যাব জানায়, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের পার্শ্ববর্তী দেশে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন পাচারকারীরা। গোপন সূত্রে এমন তথ্য পেয়ে গতকাল ভোরে টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ইদ্রিসকে আটক ও ৭ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মো. বশর ও সৈয়দ হোসেন নামের আরও দুজনের নাম জানিয়েছে ইদ্রিস। তারা ইদ্রিসের মানব পাচার চক্রের সদস্য।
এ চক্রে কারা কারা জড়িত রয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ অধিনায়ক।
উদ্ধার রোহিঙ্গা তরুণীরা জানিয়েছেন, উচ্চ বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন ইদ্রিস। তাদের কক্সবাজার সদরের লিংকরোড এলাকায় পৌঁছে দিয়ে সেখানে অপেক্ষা করানোর কথা ছিল। সেখান থেকে অন্যরা ভিন্ন গাড়িতে করে তাদের কুমিল্লা সীমান্ত এলাকায় পৌঁছে দেয়ার কথা। সে অনুযায়ী তারা লিংকরোডের কাছাকাছি চলেও এসেছিলেন। এর আধা কিলোমিটার আগে র্যাব-১৫ এর চেকপোস্টে তাদের নামিয়ে ইদ্রিসকে আটক করা হয়।
এ সময় একটি মাহিন্দ্রা ট্যাক্সি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক খায়রুল ইসলাম সরকার।
সুত্রঃ মানবজমিন