জামালপুরের ইসলামপুরে গোয়ালেরচর ইউনিয়নের দারুত তাহফিজ এনামুল খান হিফজুল কোরআন মাদ্রাসা ও তারবীয়াতুল উম্মা হাফেজিয়া মহিলা কওমী মাদ্রাসার নুরানী শাখার এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে ওই মাদ্রসার সহকারী শিক্ষক হাফেজ ছামছুল হক সাজু নামে এক শিক্ষককে গণধুলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক হাফেজ ছামছুল হক সাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানায়, গত ২৩মার্চ দিবাগত রাত ১০টার দিকে গোয়ালেরচর ইউনিয়নের জস্টিবাড়ী মোড়ে দারুত তাহফিজ এনামুল খান হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার নুরানী শাখার ওই ছাত্রকে ডেকে নিয়ে সারা শরীর ম্যাসেজ করে নেয়। এরপর এক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া নুরানী শাখার ওই শিশু শিক্ষার্থী (৯)কে বলাৎকার করে। বৃহস্প্রতিবার সকালে এই ঘটনাটি শিশুটি বড় ভাই মাদ্রাসা খাবার দিতে আসলে বিষয়টি অবহিত করলে মাদ্রাসার ছাত্র বলৎকারের ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ফাঁকে বলাৎকারী সহকারী শিক্ষক সাজু পলানোর চেষ্টা করলে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী কৌশলে বৃহস্প্রতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে গণধুলাই দিয়ে মাদ্রাসার ঘরে আটক রাখে। এখবর পেয়ে ইসলামপুর থানা ওসি (তদন্ত) কবির হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলাৎকারী শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে আটক করে।
এসময় সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হাতজোড় করে পুলিশ ও এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমাও প্রার্থনা করে। বলাৎকারী শিক্ষক হাফেজ ছামছুল হক সাজু আহমেদ পাশ্ববর্তী মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের বানী পাকুড়িয়া গ্রামের আমীর হামজার ছেলে। সেই গত ৪মাস আগে ইসলামপুর উপজেলার ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরী নেয়।
এব্যাপারে এলাকাবাসী ও শিশু ছাত্রটির পরিবার বলাৎকারী শিক্ষদের বিরুদ্ধে সঠিক বিচার দাবী করেছেন।
এব্যাপারে ইসলামপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মাজেদুর রহমান মাজেদ জানিয়েছেন, ঘটনা স্থল থেকে অভিযুক্ত শিক্ষকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।
সুত্র:
4 comments
ভালো-মন্দ মানুষ সবখানেই আছে। যখন আপনি একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করবের তখন আপনোকে অবশ্যই চিন্তা করে কাজ করতে হবে কারণ আপনার কর্তৃকর্মের কারণে ঐ প্রতিষ্ঠান বদনাম বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়
চরিত্রহীন শিক্ষক কোন দিন ভালো কিছু শেখাতে পারে না তার বিচারের দাবি করছি। অতিবিলম্বে বিচারের মাধ্যমে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক
এধরনের কুচরিত্রের কিছু লেবাসধারী শিক্ষক বা হুজুরা ধর্মকে ভিন্ন ধর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এদের কঠিন বিচার হওয়া উচিত
এই ভন্ড শিক্ষককে জুতার মালা পড়িয়ে ওকে মাদ্রাসা চত্ত্বরে নাকে খৎ দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করা দাবি জানাই