নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১১ দিন আটকে রেখে কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে মো. শাহাদাৎ হোসেন নামে মসজিদের ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি আরটিভি নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মো. রকিবুজ্জামান। এর আগে সকালে মাসদাইর এলাকা থেকে অভিযুক্ত ইমামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মাওলানা মো. শাহাদাৎ হোসেন (৪৩) আড়াইহাজার উপজেলার ফতেহপুরের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে। সে ফতুল্লার উত্তর মাসদাইর এলাকার কেতাবনগর জামে মসজিদের ইমাম ও পার্শ্ববর্তী নুরানী হেফজখানার খতিব। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে তার মেয়েকে অপহরণের পর আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় বাদী আরটিভি নিউজকে বলেন, তার ১২ বছর বয়সী ছেলে নুরানী হেফজখানার আবাসিক ছাত্র। ছোট ভাইকে খাবার দিতে কিশোরী মেয়ে ওই মাদরাসায় যেতো। এক পর্যায়ে কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দেয় গ্রেপ্তার মাওলানা শাহাদাৎ হোসেন। এই বিষয়ে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসা করলে সে আর এমন প্রস্তাব না দেওয়ার কথা জানায়। তবে গত ৮ এপ্রিল বাদীর মেয়ে জামতলা এলাকায় খাবার কিনতে গেলে তাকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় শাহাদাৎ। এরপর নবীগঞ্জ এলাকার নেওয়াজ মঞ্জিলের একটি বাসায় মেয়েকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে অভিযুক্ত মাওলানা। পরে ১৯ এপ্রিল কিশোরী মেয়েকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির আরটিভি নিউজকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মাওলানা শাহাদাৎ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোরীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
সুত্রঃ আরটিভি নিউজ
3 comments
এসব খবর শুনে সাধারণ মানুষের ধর্মীয় শিক্ষক বা ইমামদের উপর থেকে শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস উঠে যাবে! এই ইমামকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক
একজন ইমাম এধরনের জঘন্য অপরাধ করেছে এর জন্য তাকে ইসলামীয় শরিয়ত মোতাবেক যে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি আওয়তা আনার দাবী জানাচ্ছি
ধর্ষণের শাস্তি প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ করা হোক,বাংলাদেশ এই আইন প্রনয়ণ করলে এমন অপরাধ কমবে সে ইমাম হোক বা শিক্ষক সবার জন্য এই আইন বাস্তবায়ণ করা জুরুরী