লক্ষ্মীপুরে পড়া না পারায় ছাত্র নহিমুল ইসলাম ইন্নাহকে পেটানোর ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। রোববার বিকালে আহতের বাবা মো. ইব্রাহিম সদর মডেল থানায় এ অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকার আল মুঈন ইসলামি একাডেমির অধ্যক্ষ বশির আহম্মদ ও শিক্ষক আজিম মাহফুজ।
অভিযোগে বলা হয়, নহিমুল ইসলাম মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ও সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের রমারখিল গ্রামে তার বাড়ি। গত ১০ এপ্রিল পড়া না পারায় শিক্ষক মাহফুজ লাঠি দিয়ে নহিমুলকে এলোপাথাড়ি পেটান। এতে তার পিঠ ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। নহিমুল অসুস্থ হয়ে পড়লেও বাড়িতে খবর দেওয়া হয়নি। ২৮ এপ্রিল ঈদের ছুটিতে তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়। বাড়িতে এসে পাঞ্জাবি খুললে পিঠ ও হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে সে বিষয়টি সবাইকে জানায়। এ ব্যাপারে পরিবারের সদস্যদের কিছু জানালে তাকে হুমকি দেওয়া হয়।
নহিমুল ইসলাম বলে, আমাকে পড়া জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। আমি পারিনি। এজন্য লাঠি দিয়ে অনেক মেরেছে। যন্ত্রণায় রাতে ঘুমাতে পারিনি। বাড়িতে বললে আবারো মারধর করবেন বলে স্যার হুমকি দিয়েছেন।
ছাত্রের বাবা মো. ইব্রাহিম বলেন, ছেলের শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখে চোখে পানি চলে এসেছে। আগেও তারা ছেলেকে মেরেছে। তখন সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু তারা শোনেননি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
শিক্ষক আজিম মাহফুজ বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ঘটনাটি সমাধান হয়েছে। সেখানে অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি ছিলেন। সমাধান কী হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি।
বক্তব্য জানতে সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বশির আহম্মদের মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি ধরেননি।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, অভিযোগটি পেয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্রঃ যুগান্তর