বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শ্রেণীকক্ষে ৪ শিশু শিক্ষার্থীকে ধারাবাহিকভাবে যৌন হয়রানি মামলার আসামি হাফেজ আবু তালেবের (২৮) বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) দুপুরের দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আবু তালেব উপজেলার পাঁচথুপি গ্রামের শামছুল ইসলামের ছেলে এবং পাঁচথুপি মারকাযুশ শরইয়্যাহ হাফিজিয়া কওমিয়া মাদরাসার শিক্ষক। তিনি বর্তমানে বগুড়া জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।
তরুণীকে লাঞ্ছিত করা সেই নারী ৩ দিনের রিমান্ডেতরুণীকে লাঞ্ছিত করা সেই নারী ৩ দিনের রিমান্ডে
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন স্থানীয় বিষ্ণুপুর গ্রামের মাওলানা মাসুদুর রহমান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি করেন দুই সন্তানের জনক হাফেজ আবু তালেব। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি পারস নসরৎপুর গ্রামে একটি মসজিদে ইমামতি করেন।
অন্যান্য দিনের ন্যায় ৩০ মার্চ সকাল ১১টায় শ্রেণীকক্ষে পাঠদানকালে প্রথম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (৬) আদর করার ছলে কাছে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানী করে। ওই শিশু শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে তার বাবার নিকট ঘটনাটি খুলে বলে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের এক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আবু তালেবকে আটকের পর থানায় সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।
এ ঘটনায় ওই শিশু শিক্ষার্থীর বাবা বাদি হয়ে আবু তালেবের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার এক মাস আগে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় শ্রেণীর ২ শিশু ও প্রথম শ্রেণীর ১ শিশু শিক্ষার্থীকে শ্রেণীকক্ষে পাঠদানকালে একই কৌশলে যৌন হয়রানী করেছে শিক্ষক আবু তালেব।
রায়পুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবনরায়পুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মামলাটি তদন্তে হাফেজ আবু তালেব দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় থানা থেকে বগুড়া আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক
4 comments
৪ শিশুকে যৌন হয়রানি করায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দ্রুত বিচারের রায় দিয়ে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক
৪ শিশুকে যেভাবে যৌন হয়রানি করেছে , ঐ শিক্ষককে ও রিমান্ডে নিয়ে সেইভাবে শারিরিক নির্যাতন করা দরকার
আমার প্রশ্ন শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ব্যাপারে কতোটা সচেতন আমরা?
শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন শুনলে খুব খারাপ লাগে। মনে হয় আমরা কাদের উপর শিশুদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব দিচ্ছি এরা মানুষ না কি…..