খাগড়াছড়ির রামগড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষক বেলায়েত হোসেন (৪২) রামগড়ের লামকুপাড়া গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে। ঘটনার পর ছাত্রীর হাতে ১০০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করেছেন শিক্ষক।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামছুজামান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, ‘ভিকটিমের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। এখন মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
থানায় করা ওই ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার প্রথম স্কুল খোলে। এ দিন পঞ্চম শ্রেণির মাত্র দুজন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী স্কুলে আসে। দুপুর ১টায় স্কুল ছুটি হলে অন্যান্য ক্লাসের ছাত্রছাত্রী বাড়ি চলে যায়। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে হোমওয়ার্কের কথা বলে শ্রেণিকক্ষে রেখে দেন সহকারী শিক্ষক মো. বেলায়েত হোসেন। ওই সময় স্কুলের অন্য সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান অফিস কক্ষে কাজ করছিলেন এবং অন্য শিক্ষকরা বাড়ি চলে যান।
শিক্ষক বেলায়েত হোসেন ওই দুই ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে ডেকে এনে একজনকে প্রথম বেঞ্চে এবং অন্যজনকে পেছনের বেঞ্চে বসিয়ে হাতের লেখা লিখতে বলেন। এ সময় তিনি পেছনের বেঞ্চে বসা ছাত্রীর পাশে বসে তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে স্কুলের বাইরে নিয়ে ১০০ টাকা দিয়ে কাউকে কিছু না বলার কথা বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বাড়ি ফিরে ওই ছাত্রী তার মায়ের কাছে শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের বিষয়টি জানায়। পরে তার মা এলাকার কারবারি ও ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের নেতাদেরকে জানান।
রামগড় উপজেলা ত্রিপুরা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও রামগড় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শ্যামল ত্রিপুরা বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবক বিষয়টি জানিয়েছে। সংগঠনের নেতাদের সহায়তায় শুক্রবার ভুক্তভোগী ছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তার মা রামগড় থানায় শিক্ষক বেলায়েতে হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের লিখিত অভিযোগ দেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রাণী দেবী বলেন, স্কুল ছুটির পর বাসায় আসার পর সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন।
সুত্রঃ ঢাকাটাইমস