লিঙ্গ অপারেশন করে বানানো হচ্ছে ট্রান্সজেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। অর্থ কামানোর লোভ দেখিয়ে ভয়ংকর একটি চক্র দিনের পর দিন এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে গাজীপুরে। এদের খপ্পরে পড়ে প্রায় অর্ধশত মানুষ এখন হিজড়া জীবন কাটাচ্ছেন।
পোশাক শ্রমিক আসাদুল ইসলাম ১০ বছর ধরে হয়েছেন টাপুর। ছেলের অবয়ব পাল্টে দিব্যি এখন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ। পরিবার-স্বজনহীন জীবনে তারাই তাদের আপনজন। তাইতো, এত কিছুর পরও যেন কষ্ট ভুলে থাকার প্রয়াস।
যাদের একদিন ছিল সংসার, স্বাভাবিক জীবন। তাহলে কেন তাদের এমন জীবন! তৃতীয় লিঙ্গের এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় সময় সংবাদের। তারা জানান, অর্থের লোভে ফেলে সার্জিক্যাল ক্লিনিকে লিঙ্গ অপারেশন ও বিশেষ ওষুধ সেবনের মধ্য দিয়ে পরিবর্তন করা হয় তাদের শারীরিক অবয়ব।
অভিযোগ উঠেছে, এ চক্রের মূলহোতা গাজীপুরের বোর্ডবাজারের বাবু ও শহিদ হিজড়া। মেয়েলি স্বভাবের পুরুষদের টার্গেট করে লোভে ফেলে একের পর এক মানুষকে তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তর করছে তারা। পরে জিম্মি করে রাস্তাঘাটে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ করানো হয় তাদের দিয়ে।
তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তরিত হওয়া একাধিক ব্যক্তি বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের উপার্জন করা টাকা দিয়ে চক্রটি গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ।
এদিকে অভিযুক্ত বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তৃতীয় লিঙ্গে রূপান্তরের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ম্যোলা নজরুল ইসলাম বলেন, সুস্থ মানুষকে আরেকটি জেন্ডারে পরিণত করা অপরাধ। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগ রয়েছে, প্রায় ৪০ জন এ চক্রের খপ্পরে পড়ে তাদের লিঙ্গ হারিয়েছেন।
সুত্রঃ সময় নিউজ