টাকা চুরির অভিযোগে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতন
ভোলার লালমোহন উপজেলায় সহপাঠীর বাসায় গিয়ে তার বাবার পকেট থেকে টাকা চুরির অপবাদে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মো. আজমী (১০) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার শিশু আজমী লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন আছেন। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে অভিযুক্ত বাহার একই গ্রামের বাসিন্দা। বাহারের ছেলে মহিন আজমীর সহপাঠী।
নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থী আজমী জানায়, মঙ্গলবার সকালে তার সহপাঠী মহিন তাকে খেলাধুলার কথা বলে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়। তাদের খেলাধুলার একপর্যায়ে মহিনের বাবার পকেট থেকে পাঁচশো টাকা চুরি হয়েছে এমন অভিযোগে আজমীকে সন্দেহ করা হয়। সে চুরি হওয়া টাকার সঙ্গে সম্পৃক্ত নেই বলে তাদেরকে জানায়। তবু মহিনের বাবা বাহার জোরপূর্বক আজমীকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতন চালায়। নির্যাতনে তার পিঠে লালবর্ণ ধারণ করে। সে চিৎকার করতে থাকে।
খবর পেয়ে আজমীর মা ঘটনাস্থল গিয়ে আজমীকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আজমী তার ছেলে মহিনের সহপাঠী। মহিন ও আজমী তার ঘরে হাঁটাচলা করেছিলো। তার শার্টের পকেটে আটশো’ টাকা ছিলো। সেখান থেকে পাঁচশো টাকা চুরি হয়। ঘরে আজমী আর মহিন ব্যতীত অন্যকোনো লোক আসেনি। তার সন্দেহ ছিলো আজমীই ওই পাঁচশো টাকা চুরি করেছে। যার জন্য তাকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্মম নির্যাতন করা হয়।
তিনি আরও জানান, এমন নির্মম নির্যাতনের পরও আজমীর কাছ থেকে তার চুরি হওয়া টাকা পাওয়া যায়নি।
নির্যাতনের শিকার আজমীর মা পারভীন বেগমের অভিযোগ, টাকা চুরির অপবাদে বাহার তার শিশু সন্তানকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
লালমোহন থানার ওসি মো. মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় আজমীর মা পারভীন বেগম থানায় গিয়েছে। তাকে (ওসিকে) ঘটনাটি জানিয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক