ঝিনাইদহে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে জুবায়ের আহমেদ নামে এক ছাত্রকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থীর মুখে ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, ব্যক্তিগত ক্ষোভ মেটাতে এমন অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে।
সম্প্রতি ঝিনাইদই শহরের ব্যাপারিপাড়ার শাপলাচত্বর এলাকার মুহম্মদিয়া হাফিজীয়া মাদ্রাসায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর জুবায়ের আহমেদ ওই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবং উপজেলার রিশখালী গ্রামের মকলেছুর রহমানের ছেলে।
পরিবার জানায়, জুবায়েরকে এর আগেও বেশ কয়েকবার এভাবে মারধর করা হয়েছে। তারা ভেবেছে হয়ত শিক্ষক শাসন করেছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) জুবায়েরের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তার মুখে ও হাতে কালো দাগ দেখা যায়। শিক্ষকদের ভয়ে প্রথমে বিষয়টি স্বীকার করেনি। পরে সত্য জানতে চাইলে আঘাতের বিষয়টি স্বীকার করে জুবায়ের।
পরিবার আরও জানায়, জুবায়েরকে ছুটিতে বাসায় নিয়ে আসায় তার ওপর রেগে যায় শিক্ষকরা। ছুটি শেষে মাদ্রাসায় ফিরলে ওই রাগ মেটানোর জন্য প্রথমে তার গালে চড় মারা হয়। পরে বেত দিয়ে তার হাতে ও পিঠে বেধড়ক মারপিট করা হয়।
জুবায়েরের বাবা মকলেছুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ‘মাদ্রাসায় আমার ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গেলে ওর মুখে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই। আমি আঘাতের বিষয়ে জানতে চাইলে ছেলে বলে, ছুটির পরে দুপুরে মাদ্রাসায় এসে আমি পড়ছিলাম, তখন হুজুর আমাকে ডেকে প্রথমে গালে চড় মারে এবং পরে বেত দিয়ে মারধর করেন। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তারা বলে, দুপুরে পড়তে বসতে দেরি করায় তার পিঠে একটি আঘাত করা হয়েছে মাত্র।’
কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করলেও ছাত্র নির্যাতনের বিষয়ে শিক্ষক সাকের বলেন, ‘জুবায়েরকে আমি লাঠি দিয়ে শুধু একটি বাড়ি দিয়েছি। পরে আমি ভুল বুঝতে পেরেছি এবং ক্ষমাও চেয়েছি।’
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সদর উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে মাদ্রাসায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। মাদ্রাসা থেকে সরবরাহকৃত মোবাইল নম্বরটিতে একাধিকবার কল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সুত্রঃ সময় টিভি