নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নারীকে তিন দিন থানায় আটকে রেখে ধর্ষণের আলামত নষ্টের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে ওসির বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেলে ওই নারী সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ অভিযোগ করেন, ধর্ষণের শিকার হয়ে তিনি পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পুলিশ মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তাঁকে থানায় ডেকে আনে। তবে ধর্ষণের আলামত পরনের কাপড় নিয়ে মামলা করতে গড়িমসি করা হয়। চরজব্বর থানায় মামলা করতে গেলে তিন দিন তাঁকে আটক করে রাখে পুলিশ। মেডিকেলও করেনি, মামলাও নেয়নি। উল্টো ধমক দিয়ে মুচলেকা নেয় তাঁর কাছ থেকে। তিনি এর বিচার চান।
গৃহবধূর ভাষ্য, তিনি স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের পৌরসভা জজকোর্ট সংলগ্ন ঝুমুর সিনেমা হলের পাশে বসবাস করেন। তাঁর (নারীর) নিজ বাড়ি সুর্বণচর উপজেলার ভূঁইয়ার হাটের পূর্ব পাশে। গত ৪ মার্চ তাঁর দাদি মারা যান। সোমবার দাদির কুলখানি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য লক্ষ্মীপুর থেকে সুবর্ণচরের ভূঁইয়ার হাটে আসেন তিনি। গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে যাচ্ছিলেন। পথে রাত ৯টার দিকে কয়েক যুবক অটোরিকশায় এসে তাঁর গতিরোধ করে এবং তাঁকে জোরপূর্বক গাড়িতে উঠিয়ে ভূঁইয়ার হাটের পশ্চিমে একটি ফাঁকা বিল্ডিংয়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি পুলিশকে জানানোর পর এক ধর্ষককে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও করেন ওই গৃহবধূ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ নারীর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। নারীর অভিযোগ পেয়ে ঘটনাটি তদন্ত করেছেন। তাঁর (গৃহবধূ) অভিযোগ সত্য নয়। পূর্ববিরোধের জের ধরে ওই নারী এমন অভিযোগ করেছেন।
সুত্রঃ দৈনিক সমকাল