ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের ফয়লা এলাকায় কলেজগামী এক শিক্ষার্থীর কপালে সিঁদুর দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন তপন কুমার ঘোষ নামে এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি। বুধবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ধরার পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। এ সময় তার পকেট থেকে সিঁদুরের কৌটা উদ্ধার করা হয়েছে।
তপন কুমার ঘোষ উপজেলার খেদাপাড়া এলাকার গোপাল চন্দ্র ঘোষের ছেলে। তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ভুক্তভোগী শহীদ নুর আলী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কোলা সড়ক দিয়ে কলেজে যাচ্ছিলেন একাদশ শ্রেণির তিন শিক্ষার্থী। এ সময় তাদের পিছু নেয় তপন কুমার ঘোষ। হঠাৎ ফয়লা এলাকায় পেছন দিক থেকে একটি মেয়েকে ঝাপটে ধরে কপালে সিঁদুর পরাতে যায়। এ সময় ভুক্তভোগী ও তার দুই বান্ধবীর চিৎকারে মাঠে কাজ করা স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তাদের আসা দেখে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় অভিযুক্ত ব্যক্তি। স্থানীয় কয়েকজন তাকে ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলেন। এরপর কলেজের অধ্যক্ষ রাশেদ সাত্তার তরুকে বিষয়টি জানালে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা জানান, গত একবছর ধরে তার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল তপন কুমার ঘোষ। এ নিয়ে গ্রাম পর্যায়েও বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। বুধবার মেয়ে কলেজে যাচ্ছিল, এ সময় তার তাকে সিঁদুর পরাতে যায়। তিনি এ ঘটনায় বিচার চান।
ভুক্তভোগী জানান, তিন বান্ধবীর সঙ্গে কলেজে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ ওই ব্যক্তি তাদের পিছু নেয়। কলেজের কাছাকাছি পৌঁছালে সে কপালে সিঁদুর পরাতে যায়। এরপর বাধা দিলেও সে মুখে জোরপূর্বক সিঁদুর মাখায়। তাদের চিৎকারে আশপাশের মানুষ এসে উদ্ধার করে। প্রায় সে উত্ত্যক্ত করতো।
কলেজের অধ্যক্ষ রাশেদ সাত্তার তরু জানান, ওই শিক্ষার্থী শহীদ নুর আলী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। বিষয়টি শুনে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। বিষয়টি কলেজ সভাপতিকে জানানো হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, তিনি বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে এসেছেন। ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া
সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন