মাদারীপুর সদর উপজেলার বড়াইলবাড়ী গ্রামে যৌতুকের জন্য এক গৃহবধূকে বেধরক মারধর করেছে তার স্বামী ও তার পরিবার। পরে গৃহবধূকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা করতে গেলে তা আমলে নেয়নি পুলিশ। সোমবার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
সদর থানায় দায়িরকৃত অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, কয়েক বছর আগে মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী গ্রামের সৈয়দ শহীদের ছেলের সঙ্গে একই গ্রামের সাইফুল তালুকদারের মেয়ে বৃষ্টি আক্তারের বিয়ে হয়। এর পর থেকেই সৈয়দ সবুজ যৌতুকের টাকার জন্য বৃষ্টির পরিবারকে হয়রানি করে আসছে। গত ২ মে রাত ৯টার দিকে বৃষ্টি তার বাবার বাড়িতে থাকাবস্থায় তার স্বামী সৈয়দ সবুজসহ ৭ থেকে ৯ জন বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে বেদম মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় বৃষ্টিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ৩ মে রাতে সৈয়দ সবুজসহ ছয়জনকে আসামি করে সদর থানায় অভিযোগ দেন। কিন্তু থানার ওসি অভিযোগটি আমলে না নিয়ে উল্টো সৈয়দ সবুজের একটি মামলা নথিভুক্ত করে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বৃষ্টি পরিবার।
বৃষ্টির মা লিপি বেগম বলেন, আমার মেয়েকে সবুজসহ তার পরিবার আগে পরে মারধর করে আসছে। ২ মে আমার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ির পাশে আহত করে রেখে যায়। এতে আমার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করি। কিন্তু আমাদের মামলা পুলিশ নেয়নি। বরং সবুজের মামলা আমলে নিয়ে আমাদের হয়রানি করে আসছে। এ হামলার বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে সৈয়দ সবুজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
তবে মাদারীপুর সদর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ওই নারীকে নির্যাতনের ঘটনা সত্য নয়; বরং তার পরিবার সবুজের বাড়িঘরে হামলা করেছে। যে কারণে সৈয়দ সবুজের মামলা আমলে নেওয়া হয়েছে। আর ওই নারীর মামলা আমলে নেওয়া হয়নি। আমি সত্যের পক্ষে আছি।
সুত্রঃ যুগান্তর