কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক পিরের আস্তানায় সাত বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় করা মামলায় ইকবাল শাহ নামের ওই পির গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিশুটির পরিবার।
শিশুটির পরিবারের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২ জুন দুপুর ১২টার দিকে দেবিদ্বারের সাইচাপাড়া গ্রামের ইকবাল শাহ লিচু দেয়ার কথা বলে তার আস্তানায় নিয়ে স্থানীয় কিন্ডারগার্টেনের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে ব্যথায় ছটফট করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
মামলার বাদী ও শিশুটির মা জানান, এলাকার একটি চক্র এ বিষয়ে তাকে মামলা না করতে চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। তারা চেয়েছিল এ ঘটনার মীমাংসা করতে, কিন্তু তিনি সেই চাপে নতি স্বীকার না করে ৬ জুন রাতে দেবিদ্বার থানায় মামলা করেন।
সাইচাপাড়ার একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, ইকবাল শাহ নিজেকে পির দাবি করে ২০ বছর ধরে নিজ বাড়িতে ‘সাইচাপাড়া দরবার শরিফ’ নাম দিয়ে আস্তানা বানিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। বাড়িতে প্রায়ই গাঁজার আসর বসাতেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওরশের নামে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ করতেন ইকবাল। এ কাজে তাকে সহায়তা করত স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র, যে কারণে ইকবালের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতেন না কেউ।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ইকবালের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
দেবিদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাদেমুল বাহার শনিবার বিকেলে বলেন, ‘ডাক্তারি পরীক্ষায় শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ঘটনার পর ওই পির আস্তানা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’
সুত্রঃ নিউজবাংলা২৪.কম