কমলনগরে চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ে ইয়াছিন আরাফাত সজল নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে নির্যাতন করেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মর ফারুক দোলন। এতে তার সঙ্গে ছিলেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম।
নির্যাতনের পর সজলকে স্কুল ত্যাগের ছাড়পত্রও (টিসি) দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২ জুন) এ অভিযোগ করেন সজলের অভিভাবকরা। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে লিখিত অভিযোগও করেছের তারা। তা ছাড়া আহত ছাত্রকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকালে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে।
নির্যাতনের শিকার সজলের বাবার নাম আহসানুল্লাহ। তারা চর লরেন্স গ্রামের তুলাতলী এলাকার বাসিন্দা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন কমলনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়কেরও দায়িত্বও পালন করেন।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, ওমর ফারুক দোলনের ভাতিজার সঙ্গে সজলের বোনের বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে দোলন ও সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম সজলকে নির্যাতন করে জোরপূর্বক টিসি দেয়, যা নিয়ম বহির্ভূত।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তারা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পর রেজাউল করিম সজলকে প্রধান শিক্ষক দোলনের কাছে নিয়ে যান। সজল স্কুলে কেন অনুপস্থিত ছিল, তারা জানতে চান; কিন্তু সজল চুপ ছিল। তাই দোলন ও রেজাউল করিম তাকে বেধড়ক পিটুনি নেয়। এতে সজলের গাল, মাথা ও পিঠ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে তাকে টিসি দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন বলেন, সজল তার এক সহপাঠীকে ইভটিজিং করেছে। এনিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে কোনো উত্তর না দেওয়ায় সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম তাকে কয়েকটি চড় দেন। পরে তাকে ভয় দেখাতে টিসি দেওয়া হয়। তা ছাড়া সজলের বাবা আমার বন্ধু।
এ বিষয়ে রেজাউল করিম কোনো বক্তব্য দেননি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস এ ব্যাপারে বলেন, নির্যাতনের অভিযোগ পেয়েছি। তাদের উভয়পক্ষকে আসতে বলা হয়েছে। দুই পক্ষ থেকে সব শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্রঃ বাংলা নিউজ ২৪.কম