ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আলোচিত ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (২১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬০তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সভা শেষে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সিন্ডিকেট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আদালত থেকে ২৩ আগস্টের মধ্যে ওই ঘটনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে পাঠাতে বলা হয়েছে। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আদালতে পাঠাব।’
এর আগে ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির মাধ্যমে ওই পাঁচ ছাত্রীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছিল কর্তৃপক্ষ। ২৬ জুলাই বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে করা রিট পিটিশনের শুনানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া শাস্তিকে অপর্যাপ্ত ও বিধিবহির্ভূত আখ্যা দিয়ে ওই বহিষ্কারাদেশ বাতিল করেন আদালত।
সেই সঙ্গে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধির তিনটি ধারা নির্ধারণ করে দেন আদালত। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পুনরায় সিদ্ধান্ত নিতে রবিবার (২০ আগস্ট) ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
পরে জরুরি সিন্ডিকেট ডাকে প্রশাসন।
বহিষ্কার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং ছাত্রলীগকর্মী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম, চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট হল, বিশ্ববিদ্যালয় ও শাখা ছাত্রলীগ পৃথকভাবে তদন্ত করে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় উচ্চ আদালতে রিট হলে আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন তদন্ত করে।
হল প্রশাসন তাদের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পাঁচ অভিযুক্তকে হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। ছাত্রলীগ তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী পাঁচজনকে নিজেদের নেতাকর্মী দাবি করে বহিষ্কার করে।
সুত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল
3 comments
৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার আদেশ প্রমাণ করে আইনের কাছে কেউ রেহাই পায়না। আর যার পাপে সে নিজেই ভোগে
এরা মানুষ নয় মানুষরুপি জানোয়ার। এরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হয় কিভাবে এদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি মূলক ব্যবস্থার সংবাদ শুনে ভালো লাগল
র্যাগিং নিয়ে অতীতে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে, সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে তারপরও কেনো এর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে তা খুঁজে বের করে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হোক।