লক্ষ্মীপুরে আরাফাত রহমান রিশাদ (৯) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে মারধর করার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক বেলাল হোসেনের (৩২) নামে মামলা হয়েছে।
শিশুটির মা রাহিমা বেগম (৩৫) বাদী হয়ে শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
রিশাদ জেলার সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বড় আউলিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আরিফুর রহমানের ছেলে।
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন বড় আউলিয়া দারুস সুন্নাহ নুরানি হাফিজিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক এবং ওই এলাকার নবী হোসেনের ছেলে। শিশু রিশাদ তার প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় থানায় মামলাটি দায়ের হয়েছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
শিশু রিশাদের মা রাহিমা বেগম জানান, শ্রেণীকক্ষে অন্যমনস্ক থাকার অভিযোগে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে তার ছেলে রিশাদকে বেত্রাঘাত করেন মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা বেলাল হোসেন। এতে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। তবে ঘটনাটি পরিবারের লোকজনকে জানাতে নিষেধ করে শিক্ষক বেলাল হোসেন। কিন্তু শিক্ষকের বেত্রাঘাতে রিশাদ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় শিক্ষক কর্তৃক বেত্রাঘাতের বিষয়টি সে পরিবারকে জানায়। তার শরীরে জখমের চিহ্ন দেখতে পেয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পরিবারের লোকজন তাকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
রাহিমা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। এটা এক প্রকার নির্যাতন। এতে সে মানসিক এবং শারীরিক সমস্যায় ভুগছে। আমি মাদরাসা শিক্ষক বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তার বিচার চাই।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি আলমগীর হোসেন আলম বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। শিক্ষক বেলালকে মৌখিকভাবে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সুত্রঃ বাংলানিউজ২৪