ইরানে নারীদের ইসলামি পোশাক পরা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সংসদে বিল পাস করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) এ সম্পর্কিত একটি বিল তিন বছরের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে অনুমোদন দিয়েছে ইরানি সংসদ। তবে এ বিলটি এখনো আইনে পরিণত হয়নি। আইনে পরিণত হতে হলে দেশের গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদন প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনা।
গত বছর বড় ধরনের হিজাববিরোধী বিক্ষোভের পর থেকে ইরানে নারীরা ঠিকঠাক মতো ইসলামি পোশাক নীতি মেনে চলছে না। নারীদের এ প্রবণতা দমন করতেই কঠোর আইন পাস করতে চলেছে ইরান।
খসড়া আইন অনুযায়ী, বিদেশি বা শত্রু দেশের সরকার, গণমাধ্যম, গোষ্ঠী কিংবা সংস্থার প্ররোচনায় কেই হেডস্কার্ফ বা যথাযথ পোশাক না পরলে পাঁচ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই ইরানে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। সরকারের এ নীতি বাস্তবায়নে সম্প্রতি টহল জোরদার করেছে পুলিশ। জনপরিসরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এমনকি এ নীতি না মানা ও নজরদারি না করায় বেশকিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, হিজাব ঠিকমতো না পরার কারণে মাশা আমিনি নামে ওই তরুণীকে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে দেশটির নৈতিকতা পুলিশ। পরে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠার পর সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আন্দোলনে সংহতি জানালে একপর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে পাঁচ শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হয়। গ্রেপ্তার করা হয় কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুকে।
সুত্রঃ দৈনিক কালবেলা