নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রিয়াঙ্কা (১৭) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী বিজয় (১৯) কে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে সৈয়দপুর উপজেলার মিস্ত্রি পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পিয়িঙ্কা মিস্ত্রি পাড়া গ্রামের পাপ্পু হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ৬ মাস আগে সৈয়দপুর শহরের পুরাতন মুন্সিপাড়া মহল্লার দিনমজুর পাপ্পু হোসেনের মেয়ে প্রিয়াঙ্কার (১৪) সঙ্গে বিয়ে হয় শহরের মিস্ত্রিপাড়া মহল্লার বাদশা মিয়ার ছেলে বিজয়ের (১৬)। বিজয় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাইস্কুলের ১০ শ্রেণির ছাত্র আর প্রিয়াঙ্কা পড়তো এনজিও পরিচালিত ওব্যাট ব্যাক টু স্কুলের ৯ম শ্রেণিতে। তারা দুজনে ভালোবেসে বিয়ে করে। এরমধ্যে যৌতুক নিয়ে চাপ দিতে প্রিয়াঙ্কার স্বামী ও পরিবারের লোকজন।
এ অবস্থায় বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ শোয়ার ঘরে সিলিংয়ে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে পড়ে প্রিয়াঙ্কা। বাড়ির লোকজন দ্রুত তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতে মারা যায় প্রিয়াঙ্কা। তবে এলাকার লোকজন জানান, প্রিয়াঙ্কার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওব্যাট ব্যাক টু স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাবাসসুম আকতার জানান, মেয়েটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ছিলো। আমরা শিক্ষকরা তার এ ধরনের মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের মামা সম্রাট বাদী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী সম্রাট জানান, তাকে হত্যাই করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
সুত্রঃ বাংলা নিউজ২৪.কম