সরকারি কর্মকর্তা এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।
ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আল মামুন বুধবার আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে দিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল জানান, আগের স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় জাল কাগজপত্র জমার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সোহেল উদ্দীন প্রিন্স। ১৪ দিন কারাগারে থাকার পর গত রোববার তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।
সোহেল উদ্দীন প্রিন্স ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে এই মামলা করেন ভুক্তভোগী এক নারী, যিনি নিজেও একজন সরকারি কর্মকর্তা।
তার অভিযোগ পাওয়ার পর আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় প্রিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত হাকিম।
মামলা হওয়ার পরপরই সোহেল উদ্দিন প্রিন্সকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনালের বিচারক আল মামুন বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান প্রিন্স।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে এএসপি সোহেল উদ্দীনের বিয়ের কথা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রিন্স ওই নারীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে যেতে বলেন। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে কাজির মাধ্যমে বিয়ে হবে বলে জানান।
অভিযোগকারীর ভাষ্য, ওইদিন সন্ধ্যায় অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে প্রিন্স ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাননি তিনি। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রিন্স তাকে বলেন, সবাই এসে যাবে। পরে কথাবার্তার এক পর্যায়ে প্রিন্স তাকে ‘খুন করার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ’ করেন।