আফগানিস্তানের নারীদের জনসম্মুখে জোরে কথা বলা নিষিদ্ধ করতে নতুন আইন পাস করেছে তালেবান সরকার। এর ফলে গণপরিবহণে জোরে কথা বলা কিংবা জনসম্মুখে গান গাওয়ার মতো কাজ আফগান নারীরা করতে পারবেন না। বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র মৌলভি আব্দুল গাফর ফারুক বলেছেন, গত বুধবার তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা আইনটির অনুমোদন দিয়েছেন।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, নারীদের যদি ঘরের বাইরে বের হতেই হয়, তাদের অবশ্যই পুরুষদের থেকে নিজেদের মুখ ও শরীর কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং তাদের কণ্ঠস্বরও গোপন রাখতে হবে। নারীদের পোশাক যেন কোনোভাবেই পাতলা, ছোট বা আঁটসাটো না হয়, সেটিও আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তালেবানের জারি করা নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, নারীদের কণ্ঠস্বর প্রলুব্ধকর, তাই নারীদের জনসম্মুখে গান গাওয়া, আবৃত্তি করা বা উচ্চস্বরে পড়াশোনা করা উচিত নয়। রক্ত বা বিবাহের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন পুরুষদের দিকে নারীদের তাকানোও নিষিদ্ধ করেছে তালেবান।
মৌলভি আব্দুল গাফর ফারুক বলেন, ‘শরিয়া এই আইনটি পুণ্যের প্রচার ও পাপাচার থেকে মানুষকে দূরে রাখতে সহায়তা করবে ইনশাআল্লাহ।’ যেসব নারী এই নতুন আইন অমান্য করবে, তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হবে বলেও নতুন আইনে বলা হয়েছে।
নতুন এই আইন আফগান নারীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, নারীদের ওপর তালেবান সরকারের নিষেধাজ্ঞাই আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক মূলস্রোতে শামিল হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুত্রঃ মানবকন্ঠ