বরগুনার বেতাগীতে এক স্কুলছাত্রকে (৮) বলাৎকারের অভিযোগে মো. দুলাল সিকদার (৪৮) নামে এক স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) নির্যাতিত ছাত্রের চাচা বাদী হয়ে বেতাগী থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুলাল সিকদার ১০০ নম্বর হাট মোকামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি উপজেলার বেতাগী পৌরশহরের ৪নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ইউসুফ সিকদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত দুলাল সিকদার বিদ্যালয়ে চলাকালে ওই শিশুকে ডেকে স্কুলের দ্বিতীয় তলায় বলাৎকার করেন। তিনি একাধিকবার ভয়ভীতি দেখিয়ে এমন কাণ্ড করে আসছেন।
সর্বশেষ ৭ নভেম্বর (রবিবার) দুলাল সিকদার ওই ছাত্রকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একই স্থানে নিয়ে বলাৎকার করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে ওই ছাত্রকে স্কুল থেকে থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন তিনি।
ওইদিন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্র পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে এবং পরদিন থেকে বিদ্যালয়ে যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। পরিবারের লোকজন জানতে চাইলে ওই ছাত্র ঘটনাটি পরিবারকে জানায়। পরে ওই ছাত্রের চাচা বাদী হয়ে বুধবার (১০ নভেম্বর) বেতাগী থানায় মামলা দায়ের করেন।
বেতাগী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন নোংরা আচারণ ও অভিযোগ কাম্য নয়। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে।
বেতগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বলাৎকারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক দুলাল সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Ref. Kalerkonto
4 comments
শিশুরা আজ পিতা-মাতা ছাড়া কারও কাছে নিরাপদে নেই ধিক্কার জানাই এ ধরনের নোংরা মনের শিক্ষকদের
দুলাল সিকদার ওই ছাত্রকে তার ইচ্ছার বলাৎকার করেন তার উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক সমাজে আজ শিক্ষকদের সম্মান নষ্টকারী কে জুতা মারা প্রয়োজন
দুলাল শিকদার একজন শিক্ষক নামের কলঙ্ক। পুরো শিক্ষক জাতিকে অপমান করেছে এই কুলাঙ্গার
এই শিক্ষককে বরখাস্ত করে আইনের আওয়তা এনে কঠিন শাস্তি দিতে হবে।