গাজীপুরে মামলার তথ্য নিতে গিয়ে থানায় নারী পুলিশের হাতে বাদী এক অন্তঃসত্ত্বা নারী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের নির্যাতনে অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাতের অভিযোগ ভুক্তভোগী ও তার স্বজনদের দাবি, মারপিট ও আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই নারীর পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। তদন্তসাপেক্ষে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার।
গত মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরে একটি মামলার বিষয়ে তথ্য নিতে গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় যান বাদী লাবণী। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে গেলে, তিনি এক নারী কনস্টেবলের কাছে পাঠান। সেখানে নাম-ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, রুমা নামে ওই পুলিশ সদস্য দেওয়ালে চেপে ধরে তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন। এতে তার ঠোঁট ও নাক ফেটে যায়। একপর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পেটে আঘাত করেন বলেও অভিযোগ করেন ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে।
ওই দিন সন্ধ্যায় কিছুটা রক্তক্ষরণ ও পেটে ব্যথা থাকায় স্বজনরা লাবণীকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করেন। বর্তমানে পুলিশ পাহারায় সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এরইমধ্যে শারীরিক পরীক্ষায় তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর গর্ভপাতের রিপোর্ট আসে। নির্যাতনের কারণেই এই গর্ভপাত বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ও তার স্বজনদের।
ভুক্তভোগী বলেন, আমার যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়। আমি ওই নারীর কঠিন শান্তি চাই। তার মা বলেন, একটা বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেল। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ করা সম্ভব।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার বলেছেন, ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার মো. জাকির হাসান আরটিভি নিউজকে বলেন, উনি অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুক্তভোগী লাবণী একজন পার্লার ব্যবসায়ী। তার সাড়ে চার বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
সুত্রঃ আরটিভি নিউজ
6 comments
বাংলাদেশের পুলিশ যে কত খারাপ তা কনো ভাষায় বর্নণা করা যায় না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কেউ নেই।
স্বাধীন বাংলাদেশের, পুলিশ রাষ্ট্রের কর্মচারি নন। পুলিশ প্রশাসন একটা দেশ বিরোধী, জনগন বিরোধী, ইসলাম বিরোধী সন্ত্রাসী দল হিসাবে নাগরিকের নিকট (১০০%) পরিচিত লাভ করেছেন!!
পুলিশ প্রধান এবং স্বরাষ্ট মন্ত্রীর বিচারের মুখামুখি না করলে এই বর্বরতার শেষ হবে না ?
পুলিশবাহিনী হলো বদমাইশ বাহিনী ওরা কি তদন্ত করবে? একটা ঘটনা হইলো থানার ভিতরে তিন দিন পরে এসপি বলে এরকম কোন আলামত পাওয়া যায়নি। এরা কি তদন্ত করবে? যাদের তদন্ত করতে দিলে সুসঠ আলামত বের হবে তাদের উপর তদন্তের ভার দেওয়া হউক।
ঐ নারী কনস্টেবলকে চাকরিচ্যুত করে বিচার করা হোক , আর ঐ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও দোষী সাব্যস্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক ।আর পুলিশ সুপারের বক্তব্য হাস্যকর ,, ওর বউ নির্যাতিত হলে অভিযোগ না করা পর্যন্ত ও চুপচাপ থাকবে,
আমি একটা কথা বুজি না অভিযোগ পেলেই কেন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে এর আগে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় না?, তদারকির ব্যবস্থা দ্রুত ব্যবস্থার দাবি জানাই