কুমিল্লার বরুড়ায় শিক্ষকের বেত্রাঘাতে সিহাব হোসেন (১১) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল ওহাবকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিহাব উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের শশইয়া গ্রামের ডিলার বাড়ির শুকুর আলী ডিলারের ছেলে। সে ঝলম ইউনিয়নের মেড্ডা আল মাতিনিয়া নুরানি মাদ্রাসার ছাত্র।
মারধরের কয়েকদিন পর শুক্রবার (৫ আগস্ট) চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ওই মাদ্রাসায় নুরানি শিক্ষা গ্রহণ করছিল সে।
মারা যাওয়া শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, সে উপজেলা ঝলম ইউনিয়ন মেড্ডা আবদুল মতিন নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় নুরানী বিভাগে পড়াশোনা করত। গত ৪ আগস্ট বুধবার তার জ্বর হয়েছে বলে খবর দিয়ে শিহাবকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। রাতে শিহাব পরিবারকে জানায় মাদরাসার শিক্ষক তাকে শতাধিক বেত্রাঘাত করেছে। এতে করে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. নাহিদ আহমদ জানান, এ ঘটনার পর মাদরাসার শিক্ষক সদর দক্ষিণ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার ছেলে মো. আবদুল ওহাবকে আটক করা হয়েছে।
বিকেলে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বরুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সুত্রঃ সময়ের আলো
3 comments
শিক্ষকের বেত্রাঘাতে সিহাব হোসেন (১১) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু! এরা কি মানুষ ছাত্রদের এভাবে আঘাত করেছে যে তার মৃত্যু নিশ্চিত। আমি এই জালিম শিক্ষকের কঠিন শাস্তি চাই
মাদ্রাসায় শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারী নীতিমালা এখন জুরুরীভাবে প্রয়োজন। এই এটা সময়ে দাবী
যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের শারিরীক নির্যানত নিষিদ্ধ করা হোক