চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসায় ছয় মাস আগে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানেরই এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বমুবিলছড়ি এলাকা থেকে সোমবার শিক্ষক রিদুয়ানুল হককে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৭ এর পতেঙ্গা ক্যাম্প কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান।
নিহত ছেলেটি নগরীর মেহেদীবাগ এলাকার ‘দারুস সুফফাহ তাহফিজুল কুরআন মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। গ্রেপ্তার রিদুয়ানুল ওই মাদ্রাসার হাফেজ ছিলেন।
র্যাব কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লাশ উদ্ধারের পর ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে অপমৃত্যু মামলা করা হয়। কিন্তু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তার সাথে পাশবিক নির্যাতনের আলামত পাওয়ায় পরে ওই অপমৃত্যুর মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।”
ওই মামলায় মাদ্রাসার তিন শিক্ষককে আসামি করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে দুই জন পুলিশের হাতে আগে গ্রেপ্তার হলেও রিদুয়ালনুল এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান।
র্যাব বলছে, গত ১৩ মার্চ রাতে মাদ্রাসার বাথরুম থেকে ছেলেটির লাশ উদ্ধার করা হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সে সময় দাবি করেছিল, ছেলেটি ‘গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে আত্মহত্যা’ করেছে।
লাশ উদ্ধারের পর ছেলেটির বাবা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, ছেলেকে তিনি প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টায় মাদ্রাসায় দিয়ে আসতেন এবং রাত ৯টার দিকে গিয়ে আবার নিয়ে আসতেন।
“ওই মাদ্রাসার দুই ছাত্র আমাকে বলে যে আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। মাদ্রাসার শিক্ষকরা ওকে প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।”
এরপর পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে লাশ তাদের জিম্মায় নেয়।
সুত্রঃ বিডিনিউজ ২৪.কম