ইরানে হিজাব আইন ভঙ্গের অভিযোগে গত মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ২২ বছর বয়সী এক নারীকে গ্রেফতার করে দেশটির নীতি পুলিশ। পুলিশ হেফাজতে মাহশা আমিনি নামের ওই নারী মারা গেছেন। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আমিনি তার পরিবারের সঙ্গে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কুর্দিস্তান থেকে আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে রাজধানী তেহরানে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় কট্টর পোশাকবিধি ভঙ্গের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমিনিকে গ্রেফতারের পর পুলিশ ভ্যানে তুলে মারধর করা হয়। তবে ইরানি পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইরানের কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট এব্রাহিম রাইসির নারীদের পোশাক নিয়ে কড়া ঘোষণার কয়েক সপ্তাহের মাথায়ই এ ঘটনা ঘটল। উল্লেখ্য, ইসলামী বিপ্লবের পর ১৯৭৯ সাল থেকে ইরানে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরতে হয়।
ইরানে হিজাব না পরায় তরুণী গ্রেফতার, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু
আমিনির পরিবারের বরাতে গার্ডিয়ান বলছে, গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টা পরই তাদের মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমিনিকে কাসরা হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।
ইরানি মানবাধিকার সংস্থা এইচআরএএনএ বলছে, গ্রেফতারের সময় পুলিশ বলেছিল ‘পুনঃশিক্ষা সেশনের’ পর আমিনিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু পরে পুলিশ জানায়, আমিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন। যদিও এ দাবি অস্বীকার করে আমিনির পরিবার বলছে, ‘তিনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন এবং তার কোনো শারীরিক সমস্যাও ছিল না।’
হাসপাতালের বিছানায় আমিনির মাথায় ব্যান্ডেজ এবং মুখে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র বসানো ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এ ছাড়া ইরানি এই তরুণীর মৃত্যুতে দেশটির জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং রাজনীতিবিদরা শোক প্রকাশ করেছেন।
সুত্রঃ দৈনিকি ইত্তেফাক
3 comments
ইরান একটা কট্রর পন্থী দেশ, এখানে নারিদের কোন স্বাধীনতা নাই।
হিজাব নারীর সৌন্দর্য, হিজাব নারীর অহংকার, হিজাব নারীর সম্মান। এটার পরার জন্য মৃত্যুদন্ড কাম্য নয়
হিজাব না পরায় ইরানে তরুণীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ সত্যি খুব দুঃখজনক ব্যাপার।