ফেব্রুয়ারির বইমেলা বাংলাদেশে লেখক প্রকাশক ও পাঠকদের জন্য মাসব্যাপী এক বড় উৎসব। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বই প্রকাশ হয় ফেব্রুয়ারির বই মেলাতেই। কিন্তু মেলায় প্রকাশিত বই নিয়ে গত কয়েকবছরে নানা বিতর্ক এবং অঘটনের প্রেক্ষিতে লেখকরা আর মুক্ত ও স্বাধীনভাবে লিখতে পারছেন না। যেমন উদহারন সরুপ ‘জন্ম ও যোনির ইতিহাস’-এক্টিভিস্ট ও তরুণ লেখিকা জান্নাতুল প্রীতির লেখা নতুন বইটি শুরু থেকেই ছিল আলোচনায়। লেখিকার ব্যক্তিগত জীবনের খোলামেলা বিবরণে সাজানো বইটি নিয়ে পাঠক মহলেও সাড়া পড়ে। নালন্দা প্রকাশনী থেকে বের হওয়া বইটি অল্প সময়ের মধ্যে উঠে এসেছিল পাঠক চাহিদার শীর্ষে। তবে কাটতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বইটি বিতর্কের মুখে পড়ে এর ভেতরে থাকা দেশের বিনোদন জগতের বেশ কয়েকজন সেলিব্রেটি, রাজনৈতিক নেতা সম্পর্কে স্পর্শকাতর তথ্যের কারণে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে সব মহলে এ নিয়ে ক্রমাগত আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিতর্কের মুখে গ্রন্থমেলা থেকে বইটি নিষিদ্ধ করে মেলা তদারকিতে গঠিত টাস্কফোর্স।
এছাড়া কয়েকটি বই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনেক প্রকাশককে স্টল দেওয়া হয়নি। এগুলো করা ঠিক না। বই হচ্ছে একজন লেখকের চিন্তা, চেতনা, অনুভূতি ও মননশীলতার সন্তান। বইকে নিষিদ্ধ করা উচিত না।লেখকের চিন্তার সঙ্গে পাঠকের চিন্তার মিল না থাকতেই পারে; কিন্তু চিন্তাকে রুদ্ধ করা যায় না। ভিন্নচিন্তা, ভিন্নমত সমাজকে সক্রিয় রাখে, গতিশীল রাখে; সমাজের প্রাণস্পন্দনকে নিরন্তর জাগিয়ে রাখে। আর বইয়ের জবাব দিতে হবে বই দিয়ে।
বই নতুন চিন্তা, ভিন্নমতকে ধারণ করে। জীবনকে বহুমাত্রিক উপলব্ধির ভেতর দিয়ে সমৃদ্ধ করে। বই মানুষকে বাঁচাতেই শুধু শেখায় না, বাঁচাটাকে অর্থপূর্ণ ও সার্থক করে তোলে। বই আমাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু, অনন্য আশ্রয় বটে।
3 comments
এরকম বই আমি বিশ্বাস করি কোন মুসলিম নারী লেখবে ঐ নারী নামে মুসলিম কাজে বির্ধমীদের কালচার
এই বই দুশ্চরিত্র কিছু লোকের চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ও তাদের হাটের হাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছে এই বই
বই টা যেরকমই হোক নাম টা অস্বস্তিকর। আর আমাদের দেশে যে বই নিষিদ্ধ হবে তার জন্য বাড়তি আগ্রহ থাকবে মানুষের