সাভারের আশুলিয়ায় এক নারী পোশাকশ্রমিককে ইনজেকশন পুশ করে অচেতনের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।
কারখানার একাধিক শ্রমিক বলেন, ধর্ষণের স্বীকার ওই নারী শ্রমিক আট দিন আগে আশুলিয়ার বেরন এলাকার ইয়াগী বাংলাদেশ লিমিটেড নামের কারখানায় যোগ দেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির জন্য নিচে ডেকে এনে অচেতনের জন্য ইনজেকশন পুশ করে কয়েকজন। পরে তাকে অচেতন করে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। অসুস্থ হওয়ায় কয়েক দিন কারখানায় কাজে যোগ দেননি ভুক্তভোগী।
এদিকে মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কারখানায় প্রবেশ করে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করার চেষ্টা করেন। এ সময় অন্যান্য শ্রমিকদের মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হলে তারা কাজ বন্ধ করে কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
একাধিক শ্রমিকের অভিযোগ, ভুক্তভোগী অসুস্থ অবস্থায় বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাতে আসেন। তখন উল্টো কর্তৃপক্ষের লোকজন কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের কারখানা থেকে হুমকি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কারখানার পরিচালক মোরশেদ কবির পলাশ বলেন, শ্রমিকরা ধর্ষণের অভিযোগ তুলে কারখানায় কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। বিষয়টি কারখানার পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন
4 comments
মানবিকতা আর কোথায় রইল নারীরা আজ কর্মস্থলে ও নির্যাতিত হয়। হায়রে বাংলাদেশ!
বিষয়টি খুবই গুরত্বপূর্ণ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
আশুলিয়ায় নারী পোশাক শ্রমিককে নির্যাতনের বিচার করতে হবে
আশুলিয়ার পোশাক কারখানার ভিতরে এক নারী শ্রমিক আটকে রেখে ধর্ষণ মানে র্গামেন্ট শিল্প উপর অশুনি সংকেত